করোনা সংক্রমণ রোধে কালনা ও কাটোয়া পৌর এলাকায় বাজারের সময়সীমা বেঁধে দিল প্রশাসন

17th August 2020 9:06 am বর্ধমান
করোনা সংক্রমণ রোধে কালনা ও কাটোয়া পৌর এলাকায় বাজারের সময়সীমা বেঁধে দিল প্রশাসন


নিজস্ব স‌ংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা বাড়ছে জেলা জুড়ে । সুস্থতার হার ও বাড়ছে সাথে সাথে । আক্রান্তের মধ‍্যে বেশীরভাগ ই উপসর্গ হীন । এই অবস্থায় ভীড় নিয়ন্ত্রণ , শারিরীক দূরত্ব বজায় রাখা , মাস্ক ব‍্যবহার অত‍্যন্ত জরুরী । সে কথা মাথায় রেখেই এবার বর্ধমান ও মেমারী পৌর সভার পাশাপাশি কালনা ও কাটোয়া পৌরসভা এলাকায় দোকান , বাজার খোলা ও বন্ধের বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন । আগামী ৩১ শে আগষ্ট ' ২০ অবধি মেনে চলতে হবে এই নিয়ম । কালনা পৌরসভা এলাকার ১৮ টি ওয়ার্ডে র জন‍্য যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে পাইকারী সব্জী , মাছ এবং ফল এর বাজার খোলা থাকবে সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯ টা , খুচরো সব্জী ও মাছ বাজার সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা , ফুলের দোকান সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা , ফলের দোকান সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা , চায়ের দোকান সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা , হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট সকাল ১১ টা থেকে রাত্রি ৯ টা , মিষ্টির দোকান সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা ,  মুদিখানা সকাল ৭ টা থেকে ৫ টা এবং অনান‍্য দোকান ( চপ , ফুচকা ইত‍্যাদি ) সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি খোলা থাকবে । 

 

পাশাপাশি কাটোয়া পৌরসভার ২০ টা ওয়ার্ডের জন‍্য জারি হয়েছে নির্দেশিকা । বাজার , দোকান খোলার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে । জেলা প্রশাসনের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে , পাইকারী সব্জী ও মাছ বাজার খোলা থাকবে ভোর ৪ টে থেকে সকাল ৭ টা , খুচরো সব্জী , মাছ ও মাংস দোকান সকাল ৭ টা থেকে সকাল সাড়ে ১০ টা , ফল বাজার ও ফল দোকান সকাল সকাল ৭ টা থেকে সকাল ১১ টা , মিষ্টির দোকান সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা , হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো এবং সন্ধ‍্যা ৬ টা থেকে রাত্রি ১০ টা , চায়ের দোকান ভোর ৪ টে থেকে সকাল ১০ টা , মুদিখানা ও অনান‍্য সমস্ত দোকান বেলা ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা অবধি খোলা থাকবে ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।